রাশিয়ায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালকে নিষিদ্ধ ঘোষণা
ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় :
২০-০৫-২০২৫ ০১:২৭:৪৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২০-০৫-২০২৫ ০৩:৪৪:৩৬ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালকে ‘অবাঞ্ছিত সংস্থা’ ঘোষণা করে দেশটিতে নিষিদ্ধ করেছে রাশিয়া।
মঙ্গলবার (২০ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। এর আগে সোমবার এই সিদ্ধান্ত জানায় রাশিয়ার প্রসিকিউটর জেনারেলের দপ্তর।
রাশিয়ার দাবি, অ্যামনেস্টি ইউক্রেনের পক্ষাবলম্বন করছে এবং তাদের কার্যক্রম রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে। প্রসিকিউটরের দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, লন্ডনভিত্তিক এই সংস্থার অফিস রুশবিরোধী বৈশ্বিক প্রকল্পের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে।
রাশিয়ার অভিযোগ, অ্যামনেস্টি ইউক্রেনের কথিত অপরাধগুলোকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছে এবং রাশিয়াকে আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে করতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে। পাশাপাশি সংস্থাটি যুদ্ধে উত্তেজনা বাড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছে বলেও বিবৃতিতে দাবি করা হয়।
উল্লেখ্য, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, যা বিশ্বব্যাপী বন্দিদের অধিকারের পক্ষে এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য কাজ করে আসছে।
রাশিয়ার এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছেন সংস্থাটির সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাগনেস কালামার। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ক্রেমলিন যদি আমাদের নিষিদ্ধ করে, তাহলে সেটি প্রমাণ করে আমরা সঠিক কাজ করছি। রুশ সরকারের এই সিদ্ধান্ত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন এবং সিভিল সোসাইটিকে নিস্ক্রিয় করার একটি অংশ।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়া ও বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো প্রকাশে আমরা আমাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করব। অ্যামনেস্টি কখনও মানবাধিকারের পক্ষে অবস্থান থেকে পিছু হটবে না।
রাশিয়ার আইনে ‘অবাঞ্ছিত সংস্থা’ ঘোষণার পর সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে দেশটির নাগরিকদের যেকোনো রকম সহযোগিতা, এমনকি অর্থায়নও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। দোষী প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের তহবিলপ্রাপ্ত রেডিও ফ্রি ইউরোপ/রেডিও লিবার্টি এবং আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংস্থা গ্রীনপিসসহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমা সংস্থাকে একইভাবে নিষিদ্ধ করেছে রাশিয়া।
অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, রাশিয়ার এ ধরনের আইন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের লঙ্ঘন। তারা আরও জানিয়েছে, এর আগেই রাশিয়া তাদের মস্কো অফিস কার্যত বন্ধ করে দেয় এবং সংস্থার ওয়েবসাইটে দেশটির নাগরিকদের প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেয়।
রাশিয়া অভিযোগ করে আসছে, পশ্চিমা মানবাধিকার সংস্থাগুলো পক্ষপাতদুষ্ট ও রাশিয়াবিরোধী প্রচারে লিপ্ত। তবে বিশ্লেষকদের মতে, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর দেশটিতে গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের যে আশাবাদ সৃষ্টি হয়েছিল, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শাসনে তা ধ্বংস হয়ে গেছে।
বাংলা স্কুপ/ডেস্ক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স